হঠাৎ বন্যায় লাখো মানুষ পানিবন্দী


ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে অনেক জেলায়। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বন্যা এরই মধ্যে ১০ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আরো ১০ থেকে ১২ দিন তা চলতে পারে। দেশের ১৮ থেকে ২০টি জেলার নিচু এলাকা এই বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকরা ফসল নিয়ে কী করবেন, সে ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদফতর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের করণীয় নিয়ে একটি বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করেছে।

এ দিকে সীমান্ত সংলগ্ন সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। অন্য যানবাহনের পাশাপাশি এখন সড়কে চলছে নৌকা। গন্তব্যে পৌঁছতে অল্প ভাড়ায় এ নৌকাই যেন আশার আলো। ২০০৪ সালের ভয়াবহ বন্যার পর ২০২০ সালে সড়কে এমন নৌকা দেখছে হাওরবাসী। এ ছাড়া জামালপুরের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র, যমুনার শাখা নদীগুলোর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি সারিয়াকান্দির কাছে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে সারিয়াকান্দিতে নির্মিতব্য কোটি টাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীভাঙনও শুরু হয়েছে।

Post a Comment

[blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget