এই ঘটনায় পুলিশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আইজিপি বেনজীর আহমেদ পুলিশের সব ইউনিটের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জুম মিটিংয়ের সময় ৬০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তারপর থেকেই এই ঘটনায় সর্বত্র তোলপাড় তৈরি হয়।
এ দিন আইজিপি তার বক্তৃতায় পুলিশকে জনমুখী গড়ে তুলতে মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘গতকাল ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে থানায় একজন ওসিকে বদলি করা হয়েছে।’
পুলিশ প্রধানের এমন তথ্যে কর্মকর্তাদের ভেতর আলোড়ন তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠে; কোন থানায় কোন কর্মকর্তা এ কাজ করেছেন? পুলিশ কর্মকর্তারা নিজ নিজ থানায় বদলি হওয়া ওসিদের খোঁজ-খবর নিতে থাকেন।
করোনাকালে ও সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলার সময়ে বর্তমান আইজিপির দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত পুলিশ গড়ায় ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণার পরও এমন ঘটনায় হতবাক হয়ে যান কর্মকর্তারা।
সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এই মহাদুর্যোগের সময় ঘুষ নেয়া কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
যদিও আইজিপি তার বক্তৃতায় কোন থানায় এই ঘটনা কিংবা কোন কর্মকর্তা এই ঘুষ নিয়েছেন, তার নাম উল্লেখ করেননি। তবে সম্প্রতি বদলি হওয়া ওসিদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
Post a Comment